কেবলমাত্র স্কিমটির পোর্টফোলিও সংক্রান্ত বিনিয়োগের ক্রিয়াকলাপ থেকে মিউচ্যুয়াল ফান্ডগুলি যা লাভ করে তার থেকে ডিভিডেন্ড দেওয়া হয় এবং সেটি ট্রাস্টির বিবেচনা সাপেক্ষ। একটি পতনশীল বাজারে স্কিমটির যদি ক্ষতি হয় তাহলে ট্রাস্টিরা ডিভিডেন্ড প্রদানের ঘোষণাকে পরিত্যাগ করতে পারে। যেহেতু ডিভিডেন্ড একটি লাভ বা আয়, এটিকে করযোগ্য বলে ধরা হয় এবং ডিভিডেন্ডের উপর প্রযোজ্য করকে ডিভিডেন্ড ডিস্ট্রিবিউশন ট্যাক্স (DDT) বলা হয়। আগে ডিভিডেন্ড উৎসে করযোগ্য ছিল, অর্থাৎ বিনিয়োগকারীদের বিতরণ করার আগে স্কিমটিকে DDT দিতে হত। স্পষ্টতই এটি ডিভিডেন্ড প্রদানের পরিমাণ কমিয়ে দিত কিন্তু বিনিয়োগকারীর কাছে এটি করমুক্ত ছিল।
1লা এপ্রিল 2020 থেকে DDT বাতিল করা হয়েছে এবং বিনিয়োগকারীদের কাছে ডিভিডেন্ড করযোগ্য হয়েছে। এখন ডিভিডেন্ড আয় অন্যান্য উৎস থেকে আয় হিসাবে ধরা হবে এবং বিনিয়োগকারীদের তাদের ব্যক্তিগত করের স্তর অনুসারে এর উপর কর দিতে হবে। সুতরাং আগের DDT করের আমলের তুলনায় মিউচ্যুয়াল ফান্ড ডিভিডেন্ডের উপর করের কারণে লাভ বা ক্ষতি বিনিয়োগকারীর করের স্তরের উপর নির্ভর করবে।
আগে, স্কিমটির দ্বারা একটি অভিন্ন ডিভিডেন্ড ডিস্ট্রিবিউশন ট্যাক্সের (ডিভিডেন্ড বিতরণ কর) হার কেটে নেওয়ার পরে সমস্ত বিনিয়োগকারীরা ডিভিডেন্ড পেতেন। সকল বিনিয়োগকারীর উপর DDT-র সমান প্রভাব ছিল কারণ স্কিমের ধরণের উপর নির্ভরশীল একটি অভিন্ন করের হার প্রয়োগ করায় স্কিমটির বিতরণযোগ্য উদ্বৃত্ত কমিয়ে দিত। এখন আর সেই রকম ব্যাপার নয়। যদিও বিনিয়োগকারীরা তাদের বিনিয়োগের অনুপাতে ডিভিডেন্ড পাবেন, উচ্চতর করের স্তরে থাকা একজন বিনিয়োগকারীকে শেষ পর্যন্ত একজন আরো নীচের কর বন্ধনীর মধ্যে থাকা ব্যক্তির তুলনায় পাওয়া ডিভিডেন্ডের উপর বেশী কর দিতে হবে।
DDT-র অপসারণ একটি স্কিমের অধীনে গ্রোথ এবং ডিভিডেন্ড বিনিয়োগকারী উভয়কেই সমান সুযোগ প্রদান করে। তাই বিনিয়োগকারীদের এখন তাদের জন্য প্রযোজ্য কার্যকরী করের হার (সেস এবং সারচার্জ সহ) এবং ডিভিডেন্ড আয়ের প্রয়োজনীয়তার পরিপ্রেক্ষিতে ডিভিডেন্ড বিকল্প বেছে নেওয়ার সুবিধাগুলি বিবেচনা করতে হবে।