ঠিক যেমন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলতে গেলে প্রথমে কিছু কাগজ পত্রের কাজ রয়েছে এবং তারপর আপনি সমস্ত পরিষেবাগুলি কোনও ঝামেলা ছাড়াই ব্যবহার করতে পারেন, তেমনি মিউচ্যুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করার অভিজ্ঞতাও একই রকম। আপনার মিউচ্যুয়াল ফান্ডের যাত্রাপথের প্রাথমিক প্রয়োজনীয়তা হল আপনাকে আবশ্যক নথি যাচাইকরণের জন্য জমা দিয়ে আপনার KYC সম্পূর্ণ করা। একবার KYC সম্পূর্ণ হয়ে গেলে, আপনি যে কোনও মিউচ্যুয়াল ফান্ডে যেকোন অর্থের পরিমাণ যে কোনও সময়ে বিনিয়োগ করতে পারেন।
KYC হচ্ছে একটি এককালীন প্রক্রিয়া যেটা মিউচ্যুয়াল ফান্ড জগতের চাবিকাঠি। এটি যেকোন মিউচ্যুয়াল ফান্ডে আপনার প্রবেশকে মসৃণ করে তোলে এবং একবার KYC যাচাই হয়ে গেলে আপনি আপনার নিজের বাড়িতে আরামে বসে এগুলি করতে পারেন। এমনকি আজকাল আপনি একটি e-KYC’র বিকল্প বেছে নিতে পারেন যেটা সম্পূর্ণ ভাবে অনলাইন। কিন্তু e-KYC আপনার বিনিয়োগগুলিকে প্রতি ফান্ড হাউসের জন্য 50,000 টাকা প্রতিবছর হিসাবে সীমাবদ্ধ করে দেয়।
KYC সম্পূর্ণ করার পরে আপনি ডিস্ট্রিবিউটরের মাধ্যমে বা সরাসরি যেকোন মিউচ্যুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করতে পারেন। আপনি যেকোন সময়ে আপনার মিউচ্যুয়াল ফান্ডে একটা রিডেম্পশনের অনুরোধ জমা দিয়ে আপনার টাকা তুলে নিতে পারেন এবং টাকা আপনার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি 3-4 কর্ম দিবসের মধ্যে জমা হয়ে যাবে। আসলে, আপনার বেশিরভাগ লেনদেন যেমন SIP-র মাধ্যমে বা এককালীন বিনিয়োগ, বেচা এবং একটি স্কিম থেকে আরেকটি স্কিমে যাওয়া আপনি এখন আপনার বাড়ির আরামে বসে অনলাইনে করতে পারবেন।