আপনি কি কাউকে তাঁদের রিয়েল এস্টেট বিনিয়োগ সম্পর্কে কথা বলতে শুনেছেন, “আমি এই বাড়িটা 2004 সালে 30 লাখ টাকায় কিনেছিলাম। আজ এর দাম 1.2 কোটি টাকা! 15 বছরে এটা 4 গুণ হয়েছে।” এটিই হল অ্যাবসোলিউট রিটার্নের উদাহরণ। আপনি যখন একটি বিনিয়োগের চূড়ান্ত মূল্যের সাথে সেটি যে মূল্যে বিনিয়োগ করেছিলেন তার তুলনা করেন, তখন সময়ের সাথে সাথে সেটির বৃদ্ধির অভিজ্ঞতার পরিমাপ হল অ্যাবসোলিউট রিটার্ন। যেমন ধরুন, আপনি 5 বছর আগে 5000 টাকা বিনিয়োগ করেছিলেন।
যদি আপনার সেই বিনিয়োগটির মূল্য আজ 6000 টাকা হয়, তার মানে আপনি 1000 টাকা লাভ করেছেন যা আপনার প্রাথমিক বিনিয়োগ 5000 টাকার 20% অ্যাবসোলিউট রিটার্নের সমান। অ্যাবসোলিউট রিটার্নের অসুবিধা হল এটি সময়কালকে বিবেচনার মধ্যে ধরে না। উপরের উদাহরণটিতে 20% রিটার্ন বেশ ভালোই মনে হচ্ছে। কিন্তু এটি যদি 5 বছরের সময়কালে হত, তাহলে কি সেটি যথেষ্ট আকর্ষণীয় হত? কিন্তু আপনি যদি 5 বছর সময়কালে (CAGR) গড় বার্ষিক লাভ হিসাব করেন, তাহলে সেটা মাত্র 3.7% হবে। অ্যাবসোলিউট রিটার্ন সেই সমস্ত ফান্ডগুলির রিটার্ন হিসাব করতে ব্যবহৃত হয় যেগুলির বয়স এক বছরের কম।
বাকি অন্যান্য সমস্ত ক্ষেত্রে বার্ষিক রিটার্ন (CAGR) ব্যবহৃত হয় যা একটি বিনিয়োগের একটি নির্দিষ্ট সময়ে আয় করা গড় বার্ষিক রিটার্ন প্রদান করে। এর উদাহরণে CAGR কে এমনভাবে দেখানো হয় যাতে 5 বছরের নিরিখে 20% রিটার্ন আসলে দারুণ রিটার্ন নয় এই পয়েন্টটি তুলে ধরা যায়।