মিউচুয়াল ফান্ড সম্বন্ধে তথ্য, সেগুলির কর্মক্ষমতা, এনএভি ও র্যাঙ্কিং দেখার সময় আপনি নিশ্চয়ই প্রায়শ আরএসটি ব্লু-চিপ ফান্ড বা এক্সওয়াইজেড লার্জ-ক্যাপ ফান্ড জাতীয় ফান্ডের নাম দেখেছেন। ‘ব্লু-চিপ ফান্ড’ ও ‘লার্জ-ক্যাপ ফান্ড’ নামগুলি একই জিনিস বোঝাতে ব্যবহৃত হয়, কারণ দুটিই সেইধরনের ইকুইটি মিউচুয়াল ফান্ডের উল্লেখ করে যেগুলি স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত লার্জ-ক্যাপ কোম্পানিগুলির স্টকে বিনিয়োগ করে।
অক্টোবর 2017-তে জারি করা ও জুন 2018-তে লাগু হওয়া সেবি-এর প্রোডাক্ট শ্রেণীবিভাগের বিজ্ঞপ্তি-টি যদি আপনি দেখেন, তাহলে দেখবেন সেখানে ইকুইটি ফান্ডের শ্রেণীতে ব্লু-চিপ ফান্ডের কোনও উল্লেখ নেই। সেটির অর্থ কি এই যে, এখন আমাদের কাছে কোনও ব্লু-চিপ ফান্ড নেই? না, এর অর্থ এই যে, নামকরণের পদ্ধতি যা-ই হোক, যতক্ষণ পর্যন্ত মার্কেট ক্যাপিটালাইজেশনের তালিকাভুক্ত প্রথমসারির 100টি কোম্পানিতে কোনও ফান্ড বিনিয়োগ করছে, ততক্ষণ সেটি লার্জ-ক্যাপ মিউচুয়াল ফান্ড হিসেবে শ্রেণীভুক্ত হবে।
ভারতের বিভিন্ন এক্সচেঞ্জে অনেকগুলি কোম্পানি সর্বসাধারণের জন্য তালিকাভুক্ত রয়েছে। লার্জ-ক্যাপ অর্থে সম্পূর্ণ মার্কেট ক্যাপিটাইলাইজেশন (মার্কেট ক্যাপিটাইলাইজেশন = সর্বসাধারণের জন্য তালিকাভুক্ত শেয়ারের সংখ্যা * প্রতিটি শেয়ারের মূল্য) দ্বারা ভারতে সর্বসাধারণের জন্য তালিকাভুক্ত প্রথমসারির 100টি কোম্পানিকে বোঝায়।
ব্লু-চিপ স্টক অর্থে প্রায়শ কোনও অর্থব্যবস্থার বৃহত্তম কোম্পানিগুলির স্টক, যেগুলি সর্বসাধারণের জন্য তালিকাভুক্ত, সেগুলিকে বোঝায়। সেই ধরনের ব্লু-চিপ স্টকে লার্জ-ক্যাপ মিউচুয়াল ফান্ডের সম্পদের 80% বিনিয়োগ করা হয়। এইজন্য কয়েকটি এএমসি সেগুলির লার্জ-ক্যাপ ফান্ডকে ব্লু-চিপ মিউচুয়াল ফান্ড হিসেবে চিহ্নিত করতে পছন্দ করে।
পরবর্তীবার যখন আপনি সুস্থির রিটার্নের সম্ভাবনা যুক্ত কোনও সু-বৈচিত্র্যপূর্ণ ইকুইটি ফান্ডে বিনিয়োগ করতে চাইবেন, তখন সেগুলির নামের বিড়ম্বনায় জড়িয়ে পড়বেন না। সেগুলি কোন শ্রেণীতে পড়ছে, সেটি দেখুন এবং যদি সেগুলি লার্জ-ক্যাপ ফান্ড হিসেবে শ্রেণীভুক্ত হয়ে থাকে, তাহলে তখন কোনও ফান্ড সম্বন্ধে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণের পূর্বে পরবর্তী বিশ্লেষণ ও নির্বাচনের পদক্ষেপটি অনুসরণ করুন।